বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ১৯৭৬ সালের অধ্যাদেশ নং LXXXVIII দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ১লা জানুয়ারী ১৯৭৭ সাল থেকে চারটি তেল বিপণন সংস্থা, দুটি ব্লেন্ডিং প্ল্যান্ট এবং তার সহায়ক হিসাবে একটি রিফাইনারি নিয়ে কাজ শুরু করে। এই সংস্থাগুলির সাথে সম্পর্কিত কর্পোরেশনের অবস্থান হোল্ডিং কোম্পানির অনুরূপ।
সরকারের কাছে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি এবং সর্বদা পণ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পেট্রোলিয়াম পণ্যগুলির বিপণন ও বিতরণের জন্য একটি সংবিধিবদ্ধ কর্পোরেশন থাকার প্রয়োজন ছিল। প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৪ সালের মধ্যে সরকার সংখ্যালঘিষ্ঠ বা সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারগুলি উপলব্ধি করেছিল। তা সও্বেও তেল বিপণন কোম্পানি এবং রিফাইনারির উপর আর্থিক ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি স্বায়ত্বশাসিত কর্পোরেশন প্রয়োজন ছিল। সেক্ষেত্রে প্রথম ধাপটি ছিল পেট্রোবাংলা কর্তৃক তেল বিপণন কোম্পানি এবং রিফাইনারির নিয়ন্ত্রণ। যেহেতু একটি একক কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে গ্যাস ও তেল অপারেশন পরিচালনা কঠিন হয়ে গিয়েছিল সেহেতু সরকার পরবর্তীতে তেল আমদনি, প্রক্রিয়াকরণ ও বিপণনের জন্য একটি পৃথক কর্পোরেশন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিপিসি প্রতিষ্ঠার পূর্বে বিপণন কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম ছিল পরিশোধিত তেলের আমদানি ও বিতরণ। একই সাথে রিফাইনারির কাজ ছিল অপরিশোধিত তেল ক্রয় এবং এটি প্রক্রিয়াকরণ। ১৯৭৭ সালের পূর্বে জ্বালানি তেলের আমদানি কার্যক্রম অনিয়মিত থাকলেও বিপিসি প্রতিষ্ঠার পর আমদানি সূচীর আওতায় সাপ্লাই চেইন'কে শক্তিশালী করা হয়। অতঃপর, বিপিসি পেট্রোলিয়াম পণ্য ক্রয় কার্যক্রম শুরু করে এবং কোম্পানিগুলোর তেল বিপণন ও রিফাইনারির তেল প্রক্রিয়াকরণ তদারকি ও পর্যবেক্ষণ করে। বিপিসি’র নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও তও্বাবধানের পর থেকে জ্বালানি তেল খালাস, পরিবহণ ও অপারেশনাল ক্ষয়-ক্ষতি প্রচুর পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে।